Watermelon Juice

Date: 28-04-2022 Recipe
তরমুজের জুস
 
একদম ই জলবৎ তরলং রেসিপি! যা যা লাগবে তা হলো-
 
-তরমুজের টুকরো ২ কাপ
-বরফ কুচি ২ কাপ
-বিটলবণ অল্প
-লেবুর রস ১ চা চামচ
-পুদিনা পাতা কয়েকটি
- চিনি ২-৪ টেবিল চামচ (তরমুজের মিষ্টতার উপর ডিপেন্ড করে)
 
প্রণালি :
 
প্রথমে তরমুজের খোসা ছাড়িয়ে বিচিগুলো ফেলে দিয়ে পুদিনা সব কিছু সহ ভালো করে ব্লেন্ড করে ফেলতে হবে। এবার বরফ কুচি দিয়ে গ্লাসে ঢেলে টেবিলে সাজিয়ে পরিবেশন করলেই হয়ে গেলো, ছেকে দিতে পারেন,না দিলেও চলে।
তরমুজ কেনো খাওয়া উচিত! মজা তাই! এছাড়াও তরমুজে আছে বিটা ক্যারোটিন, ম্যাগানিজ যা আপনার ত্বক মসৃণ করে সঙ্গে ব্রণের সমস্যা দূর করতেও বেশ সহকারী। এছাড়া এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সহায়তা করে। সর্দি কাশি কিংবা ঠাণ্ডা জ্বরের মতো সমস্যায় তরমুজ ওষুধের মতো কাজ করে থাকে। তাইলে খাবেন না কেনো?? আলবাত খাবেন!
মাঝে মাঝে ভাবি, তরমুজ এর এই লাল সবুজের কম্বিনেশন টা এত পরিচিত, এত অর্থবহুল, এটাকে জাতীয় ফল কেনো বানানো হলো না!! না, মানে কারণ নিশ্চয়ই আছে কিন্তু একদম পতাকার সাথে মিলে যাওয়ায় মনে হলো আর কি।
মনে করেন গরমের সময়ে তরমুজ কেটে ফ্রিযে রেখে দিলে, ঠান্ডা ঠান্ডা তরমুজ টা খেতে কি ভালো লাগে না??? রোজার সময়!! বা খটখটা গরমের দুপুরে!
এছাড়াও তরমুজের খোসা ফেলে দেবার পর সাদা যেই অংশ টা থাকে সেটা দিয়ে তরকারি রান্না করে খাওয়া হয়, ডালের সাথে তরমুজের সাদা অংশ বা শুধু কুচি ভাজি অনেক মজা। এরপর ধরেন বিচি দিয়ে মালা বানানো ছাড়াও হাফ তরমুজের খোল মাথায় দিয়ে হেলমেট বানায় ও অনেক খেলা হয় ছোট বেলায়। এগুলো কি ভুলে যাবার যো আছে? শৈশব স্মৃতি বলে কথা!
আচ্ছা সব জিনিসের ভালো খারাপের কত তরমুজের নানা রকম অপকারী তা ই আছে তবে সেসব অতিরিক্ত মাত্রায় তরমুজ খেলে।হতে পারে। তা, সে তো যেকোনো জিনিস ই অতিরিক্ত ভালো না। তবু দেখে নেয়া যাক তরমুজ বেশি খেলে কি কি ঝামেলা হতে পারে।
তরমুজ খুব উপকারী ফল। আমরা জানি, তরমুজ স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। কথায় আছে অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। তেমনি তরমুজের নানা স্বাস্থ্যকর রুপের আড়ালে রয়েছে ক্ষতিকর দিক। তবে তরমুজে ক্ষতির চেয়ে উপকারই বেশি। তরমুজে রয়েছে ৯২ শতাংশ জলীয় উপাদান যা শরীরের প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা পূরণ করে। ফাইবার সমৃদ্ধ তরমুজে রয়েছে ভিটামিন এ, বি৬, সি, এবং খনিজ উপাদান পটাসিয়াম যা রোগ প্রতিরোধ করে, ওজন কমাতেও সাহায্য করে। তরমুজের উপকার আমরা অনেক শুনেছি। আজকে তাই ক্ষতির কথা জানানোর চেষ্টা। দেখে নিন বেশি তরমুজ বেশি খেলে কি কি ঝামেলা হতে পারে।
তরমুজে রয়েছে ফাইবার। তাই অতিরিক্ত তরমুজ খেলে ডায়রিয়া-সহ পেটের নানা রোগ দেখা দিতে পারে। এতে রয়েছে সরবিটল (সুগার কমপাউন্ড) যার ফলে অম্বল, বদহজমের মতো সমস্যা হতে পারে।
লাইকোপিন নামক রাসায়নিকের কারণে তরমুজের রং উজ্জ্বল ও গাঢ় হয়। লাইকোপিন এক প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা অধিক মাত্রায় শরীরে গেলে পেটের নানা সমস্যা হতে পারে। হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
তরমুজ খুবই স্বাস্থ্যকর ফল। কিন্তু এতে শর্করার পরিমাণ খুব বেশি। তাই প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে তরমুজ খেলে ডায়বিটিস হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত তরমুজ খেলে শরীরে জলীয় উপাদান অনেক বেড়ে যায়। ‘ওভার-হাইড্রেশন’-এর ফলে কিডনির নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরও অনেক দুর্বল হয়ে যায়।
তরমুজে থাকে প্রচুর পরিমাণ পটাসিয়াম। এই খনিজ উপাদান আমাদের হার্ট ভাল রাখে, পেশী শক্তি বাড়ায়, হাড়ের গঠন মজবুত করে। কিন্তু, অতিরিক্ত পটাসিয়াম শরীরে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে, পালস রেট কমে যায়।
এগুলো আমি নিজে থেকে কিচ্ছু বলি নাই খোদার কসম সব নেটে ছিলো আমি এমন অমানুষ ই না! বরং এইসব পড়ে আমার মনে পড়লো যে এসব ঝামেলা এড়াতেই সুকুমার বলেছিলেন," বয়স বুঝে সামলে খাবি, তা নইলে অনিষ্ট!"
যাক, এত কথায় কাজ কি!! তরমুজের জুস ২/১ গ্লাস কদাচিত খেয়ে নিলে লাভ নই ক্ষতি নেই!তাই ঢকঢক করে মেরে দিবেন! যা হবে পরে দেখা যাবে। ভবিষ্যতে কি হবে সেটা ভবিষ্যতের ভাবনা, নাউ এনজয়! ঠিক বলসি কিনা চিল্লায়া বলেন!
A Canon Click
মন্তব্য করুন